
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মিডিয়ার সামনে ‘মনের মাধুরী’ মিশিয়ে কথা বলেন বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বোন ও তার আইনজীবী নাজনীন নাহার। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। নাজনীন নাহার বলেন, অভিযোগ প্রমাণের আগেই আটকদের অভিযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে জিয়াউল আহসানের খালাস চেয়ে আবেদনের শুনানি করেন তিনি। সে বিষয়ে নাজনীন নাহার বলেন, এই ট্রাইব্যুনালে এসব মামলা চলতে পারে কিনা, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন রেখেছি। কারণ, এটি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য। কিন্তু এখনকার মামলাটি হচ্ছে জুলাই-আগস্ট হত্যার ঘটনায়। এটি রাজনৈতিক বিষয়। এখানে কোনও যুদ্ধের বিষয় নেই। সেজন্যই আমরা এই ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দিয়েছি। আমরা আরও বলেছি, এই ট্রাইব্যুনালের এই মামলা পরিচালনা করার কোনও ক্ষমতা নেই। একইসঙ্গে এই মামলার যারা বিচারক রয়েছেন, তাদের হাইকোর্টেই থাকা উচিত— এই মামলার বিচারকার্যে নয়। এই বিচার করার কোনও এখতিয়ার তাদের নেই।
নাজনীন নাহার অভিযোগ করেন, এই আদালতে এসব মামলা চলতে পারে না। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। আমরা আদালতের আদেশে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাবো।