অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রকাশিত ৩৯৯ পৃষ্ঠার অর্থনৈতিক খাতের শ্বেতপত্রকে ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ বলে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত । একইসাথে এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্যকে তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে অভিহিত করেছেন।
আরাফাত অভিযোগ করেন, “শ্বেতপত্র” নামে পরিচিত এই প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনা প্রশাসনের সাফল্যগুলোকে খাটো দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবেদনটির রচয়িতারা সরকারের নীতিগুলোকে অবমূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। আরাফাত এই দাবি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, এ তথ্য প্রমাণ করার জন্য প্রতিবেদনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য উৎস উল্লেখ করা হয়নি। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক বা কোনো বিদেশি ব্যাংকের তথ্য এতে উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। “এটি একেবারেই হাস্যকর,” আরাফাত মন্তব্য করেন।
আরাফাত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, এতে মূলত আত্ম-উর্দ্ধিত নথি ব্যবহার করা হয়েছে এবং তা পিয়ার-রিভিউড গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নয়। তিনি আরও জানান, ডেবপ্রিয়ের প্রতিবেদন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদদের মতামত, যেমন জেফরি স্যাক্স এবং কৌশিক বসুর ইতিবাচক মূল্যায়নগুলোকে উপেক্ষা করেছে। এই অর্থনীতিবিদরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রশংসা করেছেন।
তিনি প্রতিবেদনের স্বকীয়তার দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, এর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো সরকারের বিরোধী ব্যক্তিদের সংযোগ রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনজিওগুলো সরকারের সাফল্যগুলোকে খাটো দেখিয়ে তাদের নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
আরাফাত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিবেদনের দাবিগুলো যাচাই করার এবং সেগুলোর জন্য প্রমাণ চাওয়ার। তিনি সতর্ক করেন, যাচাইবিহীন অভিযোগ রাজনৈতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।